Saturday, July 27, 2024
গাইডব্লগ

বাংলাদেশ থেকে ইউটিউব মনিটাইজেশন | বাংলা ইউটিউব চ্যানেল

বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়াগুলো থেকে অর্থ উskatedeluxe tricks miele tiefkühler robovac vergleich teddy mantel beige lang bonnet echarpe oreille longboard shop potsdam exercice avec un ballon pour le dos skatedeluxe tricks asus usb ac53 nano treiber minecraft gioco gratis senza download amazon paw patrol pullover 104 corbata de colegio teufel wandhalter kussmaul pflanze gillette mach 3 klingen amazon পার্জন করার একটি অন্যতম প্লাটফর্ম হচ্ছে ইউটিউব। ইউটিউব থেকে আপনি বিভিন্নভাবেই আয় করতে পারেন, যেমন : এফিলিয়েট লিংকের মাধ্যমে, ডোনেশন, স্পন্সরশিপের মাধ্যমে ইত্যাদি। তেমনি ইউটিউব থেকে আয় করার আরেকটি উল্লেখযোগ্য মাধ্যম হচ্ছে “ইউটিউব মনিটাইজেশন”। মনিটাইজেশন(Monetization) শব্দটির অর্থ হচ্ছে মুদ্রায়ণ। অর্থাৎ, মুদ্রা বা টাকায় রূপান্তরের প্রক্রিয়া৷ আজকে আমরা বাংলাদেশ থেকে ইউটিউব মনিটাইজেশন তথা বাংলা ইউটিউব চ্যানেল গুলোর মনিটাইজেশন প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।

অবশ্যই পড়বেন

সফল ইউটিউবার হওয়ার টিপস

ইমেইল মার্কেটিং কী

কন্টেন্ট মার্কেটিং কী

গ্রাফিক্স ডিজাইন কী

মনিটাইজেশন কি?

মনিটাইজেশন কি

বাংলাদেশ থেকে ইউটিউব মনিটাইজেশন, বাংলা ইউটিউব চ্যানেল গুলো কীভাবে মনিটাইজ করবেন এই বিষয়গুলো জানার আগে আমাদেরকে বুঝতে হবে মনিটাইজেশন কি। সহজ কথায়, ইউটিউব মনিটাইজেশন হচ্ছে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা ভিডিওগুলোর শুরুতে, মাঝে বা শেষে বিভিন্ন ধরণের বিজ্ঞাপন প্রচার করে তা থেকে অর্থ উপার্জন করার একটি প্রক্রিয়া৷

আপনার ইউটিউব চ্যানেলের একটি বিশেষ ফিচার হচ্ছে এই মনিটাইজেশন। আপনি যখন এই ফিচারটি অন বা চালু করবেন, তখন আপনার প্লাটফর্মের ভিডিওগুলোতে বিভিন্ন রকম বিজ্ঞাপন দেখানো হবে। বিনিময়ে ইউটিউব আপনাকে কিছু অর্থ প্রদান করবে। আপনি যখন ইউটিউবকে আপনার চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দেখানোর অনুমতি দিচ্ছেন, তখন গুগল(Google) তার নিজস্ব এডভার্টাইজিং পার্টনারগুলোর (Advertising Partner) বিভিন্ন ধরণের বিজ্ঞাপন আপনার ভিডিওর মাধ্যমে আপনার অডিয়েন্সকে দেখাবে। বিজ্ঞাপন থেকে যে পরিমাণ অর্থ আয় হবে তার মধ্যে ৪৫% গুগল নিজের কাছে রেখে দিবে আর বাকি ৫৫% গুগল এডসেন্স একাউন্ট (Google Adsense Account) এর মাধ্যমে আপনার কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।

আপনার চ্যানেল মনিটাইজড করার আবেদন করার সময়ই আপনাকে গুগল এডসেন্স একাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে। একাউন্ট তৈরি হয়ে গেলে এর সাথে আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি সরাসরি সংযুক্ত হয়ে যাবে। অতঃপর মনিটাইজেশন বা আপনার ইউটিউব চ্যানেল থেকে যেকোনো উপায়ে প্রাপ্ত সকল অর্থ আপনার এডসেন্স একাউন্টে জমা হবে। পরবর্তীতে সেই অর্থ আপনি আপনার ব্যাংক একাউন্টে ট্রান্সফার করে সেখান থেকে তুলে নিতে পারবেন।

কোন কোন ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন পাবে না?

কোন কোন ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন পাবে না

ইউটিউব মনিটাইজেশন কি তা আমরা জানলাম। বাংলাদেশ থেকে ইউটিউব মনিটাইজেশন কীভাবে করবেন এ সম্পর্কে জানতে হলে প্রথমেই আমাদেরকে জানতে হবে কী কী কারণে এবং কোনো কোন বাংলা ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন পাবে না। নিম্নে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো :

  • যে ইউটিউব চ্যানেলগুলো মিক্সড কন্টেন্ট আপলোড করে 

ইউটিউব মনিটাইজেশনের সময় ইউটিউব আপনার চ্যানেলের থিম কী তা যাচাই-বাছাই করবে। আপনি কী বিষয়ক কন্টেন্ট তৈরি করেন, অর্থাৎ আপনার অডিয়েন্স আপনার এই ভিডিওগুলো থেকে কীভাবে লাভবান হবে এই বিষয়গুলো তারা শুরুতেই চেক(Check) করবে।

এখন ধরুন আপনি আপনার চ্যানেলে আজকে প্রযুক্তি বিষয়ক কোনো কন্টেন্ট আপলোড দিলেন, আবার আগামীকাল ব্লগিং নিয়ে কিছু আপলোড দিলেন, তার পরের দিন আবার ট্রাভেলিং সংক্রান্ত কোনো ভিডিও আপলোড দিলেন। অর্থাৎ, আপনি আপনার চ্যানেলে মিক্সড কন্টেন্ট বা বিভিন্ন ধরণের কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করছেন। সেক্ষেত্রে আপনার এই চ্যানেলটি মনিটাইজেশন পাবেনা, কারণ এটি ইউটিউব মনিটাইজেশন পলিসির বিরুদ্ধে। তাই আপনার যদি কোনো মেইন থিম বা আপনি যদি কোনো নির্দিষ্ট থিম বা বিষয় নিয়ে কাজ না করে থাকেন, সেক্ষেত্রে আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি মনিটাইজেশন পাবেনা।

  • যে চ্যানেলগুলো সাবস্ক্রাইবার এবং ওয়াচ টাইম কিনে বা সংগ্রহ করে থাকে

ইউটিউব মনিটাইজেশনের সর্বপ্রথম শর্ত হচ্ছে আপনাকে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক সাবস্ক্রাইবার এবং ওয়াচ টাইম (Watch Time) থাকতে হবে। আপনার বেশিরভাগ সাবস্ক্রাইবার এবং ওয়াচ টাইম কোথা থেকে এসেছে সেগুলো তারা চেক করবে, কারণ এটি তাদের পলিসির আওতাভুক্ত। এখন আপনি নিজের চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার বাড়াতে বা মনিটাইজেশনের জন্য বা নিজের পরিচিতি বাড়াতে বা যেকোনো কারণেই যদি কোনো ওয়েবসাইট বা অন্য কোথাও থেকে সাবস্ক্রাইবার কিনে বা সংগ্রহ করে থাকেন, সেক্ষেত্রে আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি মনিটাইজেশন পাবেনা কারণ এটি ইউটিউব মনিটাইজেশন পলিসির বিরুদ্ধে।

  • যে চ্যানেলগুলোতে বিভ্রান্তিকর মেটাডাটা থাকে

মেটাডাটা (Metadata) বলতে আপনার ভিডিওর টাইটেল (Title), ডেসক্রিপশন (Description), ট্যাগস(Tags), থাম্বনেইলস(Thumbnails) প্রভৃতিকে বোঝায়। আপনার ইউটিউব চ্যানেলে যদি বিভ্রান্তিকর মেটাডাটা থাকে অর্থাৎ, আপনার মেটাডাটাগুলো যদি একটি আরেকটির চেয়ে ভিন্ন হয় বা তাদের মধ্যে যদি কোনো মিল না থাকে সেক্ষেত্রে আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি মনিটাইজেশন পাবেনা।

  • যে চ্যানেলগুলোতে বিভিন্ন ধরণের রিমিক্স গান আপলোড দেওয়া হয়

পৃথিবীতে এরকম অসংখ্য ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে যেগুলোতে বিভিন্ন ধরণের রিমিক্স যেমন ডিজে(Dj) গানের কন্টেন্ট তৈরি করা হয়। এদের মধ্যে অনেকগুলো চ্যানেলেরই আবার লক্ষ লক্ষ সাবস্ক্রাইবার বা ভিউয়ার থাকে। কিন্তু এই চ্যানেলগুলোও মনিটাইজেশন পাবেনা। কারণ এখানে আপনি নিজস্ব কোনো সৃজনশীলতা দেখাতে পারেননি। শুধুমাত্র অন্যদের গানকে কিছুটা পরিবর্তন করে কন্টেন্ট তৈরি করেছেন। আর এই ধরণের চ্যানেলগুলো মনিটাইজেশন পায় না।

  • যে গেমিং চ্যানেলগুলোর ভিডিওতে নিজস্ব কণ্ঠস্বর এবং সৃজনশীলতা থাকে না

আজকাল দেখা যায়, বেশিরভাগ গেমিং চ্যানেলে ইউটিউবাররা নিজের ভয়েস বা কণ্ঠস্বর না দিয়ে শুধুমাত্র একটি বা কয়েকটি গান জোড়া লাগিয়ে গেমিং কন্টেন্ট তৈরি করেন। আবার অনেকে দেখা যায়, অন্যদের গেমিং ভিডিওর ক্লিপ দিয়ে ভিডিও বানিয়ে নিজের চ্যানেলে আপলোড দেন। এই ধরণের চ্যানেলগুলো মনিটাইজেশন পাবে না। কারণ এখানে আপনার নিজস্ব কোনো সৃজনশীলতা নেই। আপনার ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশনের জন্য আপনাকে অবশ্যই নিজের সৃজনশীলতা এবং কণ্ঠস্বরকে ব্যবহার করে সুন্দরভাবে কন্টেন্টটি উপস্থাপন করতে হবে।

এগুলো ছাড়াও আরো অনেকগুলো চ্যানেল মনিটাইজেশন পাবে না। যেমন :

  • যে ইউটিউব চ্যানেলগুলোর বেশিরভাগ কন্টেন্টই একই ধরণের।
  • ইউটিউবে ইতিমধ্যে আপলোড করা হয়েছে এমন কন্টেন্ট নিজের চ্যানেলে আপলোড করলে ঐ চ্যানেলটি মনিটাইজড হবে না।
  • ডান্স বা নাচের কভার(Cover) ভিডিও তৈরি করে এমন চ্যানেলগুলো মনিটাইজেশন পাবে না।
  • ইমেজ বা স্লাইডশো(Slideshow) চ্যানেল যারা কেবলমাত্র কোনো গান জোড়া লাগিয়ে বা শুধু ইমেজ বা স্লাইডশো এর মাধ্যমে কন্টেন্ট তৈরি করেন, ঐ চ্যানেলগুলো মনিটাইজড হবে না।
  • ইউটিউব বা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া বা যেকোনো জায়গা থেকে বিভিন্ন রকম ভিডিও ক্লিপ সংগ্রহ করে কন্টেন্ট তৈরি করা চ্যানেলগুলো মনিটাইজেশন পাবে না।

ইউটিউব মনিটাইজেশন পলিসি

 

বাংলাদেশ থেকে ইউটিউব মনিটাইজেশন বা বাংলা ইউটিউব চ্যানেল গুলো মনিটাইজেশনের জন্য আমাদেরকে ইউটিউব মনিটাইজেশন পলিসি সম্পর্কে জানতে হবে। ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন পলিসি মূলত চার ধরণের। সেগুলো হলো :

  • কমিউনিটি গাইডলাইনস।
  • রিভিউ চ্যানেল। 
  • কপিরাইট।
  • গুগল এডসেন্স।

ইউটিউব মনিটাইজেশন পলিসি

  • কমিউনিটি গাইডলাইন

ইউটিউব মনিটাইজেশনের জন্য ইউটিউব কমিউনিটি থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ গাইডলাইন দিয়ে দেওয়া হয়। মনিটাইজেশন পাওয়ার জন্য আপনাকে সেগুলো মেনে চলতে হবে। যথা :

  • আপনার ইউটিউব চ্যানেলে স্প্যামিং, স্ক্যামিং এবং প্রতারণামূলক কোনো কার্যক্রম চালানো যাবেনা।
  • নগ্নতা বিষয়ক এবং সেক্সুয়াল কন্টেন্ট তৈরি করা যাবেনা। 
  • শিশুদের জন্য নিরাপদ এবং ব্যবহার উপযোগী হতে হবে। 
  • ক্ষতিকারক এবং বিপদজনক কন্টেন্ট তৈরি করা যাবে না। 
  • কোনো প্রকার উষ্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়া যাবেনা। 
  • কোনো প্রকার হয়রানি বা সাইবার বুলিয়িং(Cyber Bullying) করা থেকে বিরত থাকতে হবে। 

কমিউনিটি গাইডলাইন

  • রিভিউ চ্যানেল 

আপনার ইউটিউব চ্যানেলটির মনিটাইজেশন এপ্রুভ করার আগে ইউটিউব কতৃপক্ষ আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি রিভিউ করে দেখবে। মূলত ৫টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তারা চেক করবে। সেগুলো হলো :

১. মূল থিম : সর্বপ্রথমেই তারা চেক করবে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের মূল থিমটি কী বা আপনি কী বিষয়ক কন্টেন্ট তৈরি করেন। যেমন : আপনি প্রযুক্তি নিশটি নিয়ে কাজ করছেন। সেই ক্ষেত্রে আপনি শুধু সেটি নিয়েই কাজ করুন। যদি আপনি বিভিন্ন রকম নিশ বা কন্টেন্ট নিয়ে কাজ শুরু করেন সেক্ষেত্রে আপনি মনিটাইজেশন পাবেন না। তাই একটি নির্দিষ্ট থিম বা বিষয়ে নিয়েই কাজ করা উচিত।

২. সবচেয়ে বেশি ভিউ হওয়া ভিডিওগুলো : আপনার সবচেয়ে বেশি ভিউ হওয়া ভিডিওগুলো ইউটিউব কতৃপক্ষ চেক করে দেখবে। সেখানে আপনি কী নিয়ে কন্টেন্ট তৈরি করেছেন, মানুষ তা কেমন পছন্দ করেছে সবকিছুই তারা বিবেচনা করবে।

৩. নতুন বা সাম্প্রতিক ভিডিওসমূহ : আপনার ইউটিউব চ্যানেলে হাজারের উপর ভিডিও থাকতে পারে। সবগুলো তাদের পক্ষে চেক করে দেখা সম্ভব না। তাই তারা আপনার চ্যানেলের সবচেয়ে বেশি ভিউ হওয়া ভিডিওগুলোর পাশাপাশি নতুন বা সাম্প্রতিক সময়ে পাবলিশ করা ভিডিওগুলো চেক করে দেখবে।

৪. ওয়াচ টাইম কত এবং কোথা থেকে এসেছে : যেমনটা আমরা পূর্বে বলেছি, একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ওয়াচ টাইম না পেলে ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজড হয় না। তাই তারা আপনার মোট ওয়াচ টাইম কত এবং সেগুলো কোথা থেকে এসেছে তা তারা যাচাই-বাছাই করবে। কারণ অনেকেই দেখা যায় বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে ওয়াচ টাইম কেনা সহ আরো বিভিন্নভাবেই তা সংগ্রহ করে থাকেন। এই সকল ক্ষেত্রে আপনি আপনার চ্যানেলটিকে মনিটাইজড করতে পারবেন না।

৫. ভিডিও মেটাডাটা : আপনার ইউটিউব চ্যানেলের মেটাডাটা অর্থাৎ ভিডিও টাইটেল, ডেসক্রিপশন, থাম্বনেইলস, ট্যাগস সব একই রকম কিনা সেগুলো তারা যাচাই করে দেখবে। যদি সেগুলো ভিন্ন ভিন্ন হয় তাহলে আপনি মনিটাইজেশন পাবেন না। আর যদি সব ঠিকঠাক থাকে, তাহলে আপনার চ্যানেলটি মনিটাইজড হয়ে যাবে। 

  • কপিরাইট

আপনার ইউটিউব চ্যানেলের কন্টেন্টগুলোর মধ্যে কোনো কপি কনটেন্ট রয়েছে কিনা বা কোনো প্রকার কপিরাইট ক্লেইম বা ইস্যু রয়েছে কিনা সেগুলো ইউটিউব কতৃপক্ষ চেক করে দেখবে। যেমন আপনি আরেকজনের কন্টেন্ট নিজের চ্যানেলে আপলোড দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে আপনার চ্যানেলটি মনিটাইজেশন পাবেনা। এমনও হতে পারে আপনারই নিজের দুটো ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। দুটো চ্যানেলেই আপনি একই কন্টেন্ট পাবলিশ করেছেন। সেক্ষেত্রে পরবর্তীতে যে চ্যানেলটিতে আপনি কন্টেন্ট পাবলিশ করেছেন সে চ্যানেলটি মনিটাইজেশন পাবে না। কারণ ইউটিউব কতৃপক্ষ এটিকে কপিরাইট হিসেবে গণ্য করবে।

অথবা ধরুন আপনি কয়েকটি গান রিমিক্স করে একটি গান তৈরি করলেন, সেক্ষেত্রেও আপনি আপনার চ্যানেলটিকে মনিটাইজড করতে পারবেন না। কারণ আপনি আদতে নতুন কিছু করছেন না, শুধুমাত্র গানগুলো রিমিক্স করে কন্টেন্ট তৈরি করছেন। এক্ষেত্রে আপনার নিজস্ব কোনো সৃজনশীলতা নেই, তাই আপনাকে মনিটাইজেশন দেওয়া হবেনা।

অর্থাৎ, আপনার চ্যানেলে যেকোনো প্রকার কপিরাইট ইস্যু থাকলে চ্যানেলটি মনিটাইজেশন পাবেনা। তাই এই ধরণের কোনো সমস্যা যেনো আপনার ইউটিউব চ্যানেলে না থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে।

  • গুগল এডসেন্স

ইউটিউব মনিটাইজেশন হচ্ছে, গুগলের নিজস্ব এডভার্টাইজিং বা এডসেন্স প্রোগ্রামের মাধ্যমে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে বিভিন্ন রকম বিজ্ঞাপন প্রচার করার একটি প্রক্রিয়া। তার জন্য আপনার গুগল এডসেন্সে একটি একাউন্ট খুলতে হবে। গুগল এডসেন্সের কিছু নিজস্ব পলিসি রয়েছে, সেগুলো হলো :

  • কন্টেন্ট পলিসি। 
  • কোনো রকম অবমাননাকর ভাষা ব্যবহার করা যাবে না। 
  • কন্টেন্টটি কে বা কারা তৈরি করেছেন তা যাচাই-বাছাই করা। 
  • ট্রাফিক সোর্স কোথা থেকে আসছে তা গবেষণা করা।
  • অ্যাডস বিহেভিয়ার (Ads behaviour)
  • অ্যাডস প্লেসমেন্ট (Ads Placement)

যদি আপনি এই পলিসিগুলো সব মেনে চলেন বা আপনার ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলো সব ঠিকঠাক থাকে তাহলে আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি মনিটাইজড হওয়ার ক্ষেত্রে আর কোনো বাঁধা থাকবেনা। বর্তমানে ইউটিউব মনিটাইজেশনের এই পলিসিগুলোয় রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে একটি লক্ষ্যণীয় বিষয় হচ্ছে, এই পলিসিগুলো প্রতিনিয়তই পরিবর্তিত হতে পারে। এমনকি মাসে মাসেও পরিবর্তন হতে পারে। মনিটাইজেশন পলিসির সর্বশেষ আপডেট পেতে চাইলে, আপনি যেকোনো সময়ই ইউটিউব মনিটাইজেশন পলিসি এখানে ভিজিট করে তা দেখে নিতে পারেন।

ইউটিউব মনিটাইজেশন শর্ত

ইউটিউব মনিটাইজেশন শর্ত

বাংলাদেশ থেকে ইউটিউব মনিটাইজেশন তথা বাংলা ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন পলিসি সম্পর্কে আমরা জানলাম। ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশনের বেশ কিছু শর্ত রয়েছে। সেগুলো হলো :

  • সর্বপ্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হচ্ছে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে অন্তত ১ হাজার সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে
  • বিগত এক বছরে আপনার চ্যানেলটির অন্তত ৪ হাজার ঘণ্টা ওয়াচ টাইম থাকতে হবে।
  • আপনি যে দেশ থেকে ইউটিউব ব্যবহার করছেন সেখানে ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম (Youtube Partner Program) থাকতে হবে।
  • ইউটিউবের সকল নীতিমালা এবং গাইডলাইন আপনাকে মেনে চলতে হবে। 
  • আপনার গুগল এডসেন্স একাউন্ট আপনার ইউটিউব চ্যানেলের সাথে সংযুক্ত থাকতে হবে।
  • অন্য কোনো ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও আপনার চ্যানেলে আপলোড করা যাবেনা।

আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি মনিটাইজড করতে হলে আপনাকে অবশ্যই এই শর্তগুলো ভালো মতো মেনে চলতে হবে। 

কীভাবে ইউটিউব মনিটাইজেশন করবেন?

কীভাবে ইউটিউব মনিটাইজেশন করবেন

বাংলা ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন পলিসি, মনিটাইজেশনের শর্তগুলো জানলাম। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কীভাবে আপনি বাংলাদেশ থেকে ইউটিউব মনিটাইজেশন করতে পারবেন? নিম্নে প্রক্রিয়াটি নিয়ে আলোচনা করা হলো :

প্রথমেই আপনার মোবাইল বা কম্পিউটার ডিভাইস থেকে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে লগিন করুন। অতঃপর আপনার চ্যানেলের আইকনে ক্লিক করে ক্রিয়েটর স্টুডিওতে(Creator Studio) ক্লিক করুন। তারপর আপনার চ্যানেলের ড্যাশবোর্ড থেকে মনিটাইজেশন (Monetization) অপশনে ক্লিক করুন। অপশনটিতে ক্লিক করে আপনার চ্যানেলটি মনিটাইজেশনের জন্য উপযুক্ত কিনা তা যাচাই করে নিন। আপনার চ্যানেলটি মনিটাইজেশনের উপযোগ্য হলে সেখানে এপ্লাই নাও (APPLY NOW) অপশন পাবেন। সেখানে ক্লিক করুন। ক্লিক করার পর নতুন ওয়েবপেজে তিনটি অপশন পাবেন। সেগুলো হচ্ছে :

  • রিভিউ পার্টনার প্রোগ্রাম টার্মস (Review Partner Program Terms)।
  • সাইন আপ ফর গুগল এডসেন্স (Sign Up For Google Adsense)।
  • গেট রিভিউড (Get Reviewed)

উপরোক্ত প্রথম দুটি ধাপ পূরণ করার পর তিন নম্বর ধাপে ইউটিউব আপনার চ্যানেলটি রিভিউ করবে। যদি আপনার চ্যানেলটি মনিটাইজেশনের সকল শর্ত অনুসরণ করে এবং পলিসি মেনে চলে, সেক্ষেত্রে ইউটিউব অল্প সময়ের ভিতর আপনার চ্যানেলে মনিটাইজেশন অপশনটি চালু করে দিবে।

পরিশেষ

বাংলাদেশ থেকে ইউটিউব মনিটাইজেশন এবং বাংলা ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন সংক্রান্ত সকল কিছু নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। বর্তমানে ইউটিউব থেকে অর্থ উপার্জনের একটি অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে ইউটিউব মনিটাইজেশন। তাই আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি যদি মনিটাইজেশনের জন্য যোগ্য বা উপযুক্ত হয়ে থাকে, তাহলে আজই আপনার চ্যানেলে ইউটিউব মনিটাইজেশন অপশনটি চালু করে ফেলুন। 

তৌহিদ

ABOUT TOUHID

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *