নিজেই নিজের আর্টিকেল লিখতে পারেন | PASTOR ফর্মুলা
ফর্মুলা শব্দটি শুনলেই আমাদের কোনো সূত্র বা তত্ত্বের কথা মনে পরে। আসলে PASTOR ফর্মুলাও একটি সূত্র বা তত্ত্বই। এটি হচ্ছে, কীভাবে আপনি নিজেই নিজের আর্টিকেল লিখতে পারবেন তার একটি সূত্র বা তত্ত্ব। আপনি হয়janod weltkarte is fitbit or apple watch more accurate album la moufle personnage luz disco bambola incinta nike schuhe schwarz blau table pliante camping valise leclerc sneakers vernis femme ofertas bicicletas montaña corte ingles slip sundek amazon nike air max plus bicolor a1j8z timberland collana paciotti argento trächtig hund dauer amazon echo stimmerkennung তো ভেবে অবাক হবেন যে, আর্টিকেল লিখতে আবার সূত্রের কী আছে?
হ্যা, আর্টিকেল লেখারও সূত্র আছে, যাকে আমরা PASTOR ফর্মুলা বলে থাকি। আজকে আমরা PASTOR ফর্মুলা এবং PASTOR ফর্মুলা ব্যবহার করে কীভাবে নিজের আর্টিকেল নিজেই লেখা যায় – এই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।
অবশ্যই পড়বেন
PASTOR ফর্মুলা কী?
“PASTOR” শব্দটিতে মোট ছয়টি অক্ষর রয়েছে। PASTOR ফর্মুলা অনুসারে এই ছয়টি অক্ষরই এক-একটি অর্থপূর্ণ শব্দ দ্বারা গঠিত।
যেমন : এখানে “P” দ্বারা বোঝানো হচ্ছে Problem বা সমস্যা।
অতঃপর “A” দ্বারা বোঝানো হচ্ছে Amplify। অর্থাৎ, বিবর্ধন বা বর্ধিত করা।
তেমনি “S” দ্বারা বোঝানো হচ্ছে Story/Solution। অর্থাৎ, গল্প/সমাধান।
“T” দ্বারা বোঝানো হচ্ছে Transformation/Testimony। অর্থাৎ, রূপান্তর/প্রমাণ।
“O” দিয়ে বোঝানো হচ্ছে Offer (অফার)।
আর সবশেষে “R” দিয়ে বোঝানো হয় “Response & Respect”। অর্থাৎ, প্রতিক্রিয়া এবং সম্মান।
নিম্নে এই প্রত্যেকটি শব্দ আলাদা আলাদাভাবে ব্যাখা করা হলো। তাহলে বিষয়টি আরো সহজে বোধগম্য হবে। এবং আপনি বুঝতে পারবেন কীভাবে আপনি এই ফর্মুলা ব্যবহার করে নিজেই নিজের আর্টিকেল লিখতে পারবেন।
-
P : Problem
PASTOR ফর্মুলার একদম প্রাথমিক ধাপটি হচ্ছা Problem বা সমস্যা৷ এই ফর্মুলা অনুসারে, আপনি কোন বিষয় বা কোন সমস্যা বা কী নিয়ে আর্টিকেল লিখছেন তা আর্টিকেলের শুরুতেই আপনাকে তুলে ধরতে হবে। অর্থাৎ, আপনার আর্টিকেলের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়টি যাতে অডিয়েন্স একদম শুরুতেই বুঝতে পারে তা আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে।
যেমন আপনি, “কীভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করবেন/শিখবেন?” – এই বিষয়ে আর্টিকেল লিখতে চাচ্ছেন। তাহলে আপনি শুরুটা করতে পারেন এভাবে, “আপনি কি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে আগ্রহী? কিন্তু কীভাবে শিখবেন তা বুঝতে পারছেন না?”। অথবা এভাবে শুরু করতে পারেন যে,” বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের চাহিদা অনেক বেশি। তাই বর্তমানে ছোট-বড় ব্যবসায়ী বা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে নতুন কোনো উদ্যোক্তা সবাইই নিজেদের ব্যবসার প্রচার-প্রচারণার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের আশ্রয় নিয়ে থাকে”।
মোট কথা, আপনার আর্টিকেলটি কী বিষয়ে তা শুরুতেই আপনার অডিয়েন্সকে জানিয়ে দিতে হবে। কারণ, আপনার আর্টিকেলের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়টি যদি অডিয়েন্স শুরুতেই বুঝতে না পারেন, তাহলে তারা পুরো আর্টিকেলটি পড়ার জন্য উৎসাহ পাবেন না। তাই শুরুতেই সেটি অডিয়েন্সকে জানাতে হবে।
-
A : Amplify
Problem বা সমস্যার পরের ধাপটি হলো “Amplify” বা বর্ধিত করা। PASTOR ফর্মুলা অনুসারে, নিজের আর্টিকেল নিজে লেখার দ্বিতীয় ধাপটি হলো আপনি যে বিষয়ে বা যে সমস্যা নিয়ে আর্টিকেল লিখছেন সেটি আরো Amplify করে বা বিস্তারিতভাবে লেখা।
যেমন ধরুন, আপনি যখন ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে আর্টিকেল লিখছেন তখন আপনাকে সেটা উল্লেখ করার পর এই ধাপে আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং কী, কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ বা কেন ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা বা করা দরকার, এই বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করতে হবে। যাতে করে অডিয়েন্স বিষয়টির তাৎপর্য এবং কেন এটি করা দরকার তা বুঝতে পারেন।
লেখার এই পর্যায়ে অডিয়েন্সের সাথে আপনার একটি আবেগপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করতে হবে। অর্থাৎ, ডিজিটাল মার্কেটিং কেন শেখা দরকার, বা এটি কী কাজে আসতে পারে এরকম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো গ্রাহকের কাছে এমনভাবে তুলে ধরতে হবে যাতে অডিয়েন্স পরবর্তী ধাপগুলো বা লেখার পরবর্তী অংশগুলো পড়ার জন্য উৎসাহিত হন।
-
S : Story/Solution
PASTOR ফর্মুলার তিন নম্বর ধাপটি হচ্ছে Story/ Solution। অর্থাৎ, গল্প বা সমাধান। আপনার লেখার এই পর্যায়ে আপনি অডিয়েন্সকে সমস্যাটি বা বিষয়টি কী এবং কেন এর সমাধান বা এটি শেখা দরকার তা বোঝাতে পেরেছেন। এর পরের ধাপটা হবে এর সমাধান কী বা কীভাবে এটি শেখা যায়।
যেমন : আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং কী, কেন শেখা দরকার এগুলো ইতিমধ্যেই আপনার আর্টিকেলে উল্লেখ করেছেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ডিজিটাল মার্কেটিং যে করবেন তা শিখবেন কীভাবে? এই ধাপে আপনাকে এই সমস্যারই সমাধান দিতে হবে। অর্থাৎ, অডিয়েন্স কি করে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখবে সেই পথ বাতলে দিতে হবে।
এই সমাধানটি অডিয়েন্সের কাছে আপনার এমনভাবে উপস্থাপন করতে হবে, যাতে তাদের মধ্যে কোনো রকম বিরক্তিবোধ কাজ না করে। তাই আপনি তাদের কাছে বিষয়টি গল্প আকারে উপস্থাপন করার চেষ্টা করবেন। আপনি ভাবতে পারেন যে, গল্প আকারে আবার কি করে সমাধান দেওয়া যায়?
আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা যায় এমন একটি কার্যকরী মাধ্যম উল্লেখ করলেন, আর সেখানে কিছু গল্পমূলক কথা যেমন “বিশ্বের অনেক বড় বড় ডিজিটাল মার্কেটার এভাবেই ডিজিটাল মার্কেটিং শিখেছেন। তারা নিজেরাও এভাবেই ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন” – এই ধরণের কিছু কথা উল্লেখ করতে পারেন। এতে করে অডিয়েন্স সহজে এবং আগ্রহ সহকারে বুঝতে পারবে এবং নিজের করণীয় নির্ধারণ করতে পারবে।
-
T : Transformation/ Testimony
PASTOR ফর্মুলার চতুর্থ ধাপটি হচ্ছে Transformation/Testimony। অর্থাৎ, রূপান্তর/ প্রমাণ বা সাক্ষ্য। আর্টিকেলের এই পর্যায়ে এসে, আপনার কথা বা আপনি যে সমাধান দিয়েছেন তার যৌক্তিকতা সমর্থনের জন্য কিছু প্রমাণ বা সাক্ষ্য উপস্থাপন করতে হবে অথবা কোনো রূপান্তর দেখাতে হবে, যাতে অডিয়েন্স আশ্বস্ত এবং নির্ভার হতে পারে।
যেমন পূর্বে আপনি উল্লেখ করেছেন অনেক বড় বড় মার্কেটার এই কৌশলে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখেছেন। এই ধাপে আপনার এই বিষয়ের সমর্থনে জনপ্রিয় দুই-একজন মার্কেটারের কিছু মতামত বা ছবি বা ভিডিও উপস্থাপন করতে পারেন, যেখানে তারা এই বিষয়ের সমর্থনে কথা বলছেন। এতে করে গ্রাহকদের আপনার উপর পূর্ণ ভরসা চলে আসবে এবং তারা সম্পূর্ণ মনোযোগ ও গুরুত্ব সহকারে আপনার আর্টিকেলটি পড়বে।
-
O : Offer
PASTOR ফর্মুলার পঞ্চম ধাপটি হচ্ছে Offer (অফার)। এই পর্যায়ে আপনাকে আপনার অডিয়েন্সদের জন্য অফার বা সুযোগ-সুবিধাগুলো তুলে ধরতে হবে। অর্থাৎ, তারা যে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখবে বা শিখেছে, এ থেকে তারা কী কী সুযোগ সুবিধা বা অফার পেতে পারে, ভবিষ্যতে তারা কীভাবে এখান থেকে লাভবান হতে পারে এই বিষয়গুলো আপনার সুন্দর করে তাদের সামনে উপস্থাপন করতে হবে।
এই অংশটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই ধাপটিতে আপনাকে সব রকম অফার একসাথে তুলে ধরতে হবে। অর্থাৎ, ডিজিটাল মার্কেটিং কী কী ভাবে করা যায়, কোনটিতে কেমন সুযোগ-সুবিধা, তাছাড়া ডিজিটাল মার্কেটিং করে ভবিষ্যতে কেমন অর্থ উপার্জন বা ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব, এই সবগুলো বিষয় আপনাকে একদম ভেঙে ভেঙে লিখতে হবে। বলা যায়, মূল কাজটি এই ধাপেই।
তাই এই ধাপটি অনেক যত্নসহকারে বিস্তারিতভাবে অডিয়েন্সের কাছে উপস্থাপন করতে হবে যাতে অডিয়েন্স বুঝতে পারে তারা এখান থেকে কী কী অফার বা সেবা পেতে পারে এবং সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
-
R : Response & Respect
যেকোনো আর্টিকেল লেখার সময় একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, আর্টিকেলের শুরু আর শেষে অবশ্যই আপনার মূল প্রতিপাদ্য বিষয়টি থাকতে হবে আর লেখার ভাষা এমন হতে হবে যাতে গ্রাহকের পছন্দ হয়। অর্থাৎ, গ্রাহকের অসম্মান বা গ্রাহককে ছোট করা হয় এমন কোনো শব্দ বা ভাষা ব্যবহার করা যাবেনা।
এই ধাপে আপনার অডিয়েন্সকে নতুন কিছু জানানোর দরকার নেই। বরং ডিজিটাল মার্কেটিং বা যে বিষয় নিয়েই আপনি কথা বলেছেন, অডিয়েন্সকে সেটির উপর উৎসাহিত করুন। যাতে তারা সেটি শিখতে এবং জানতে আগ্রহী হন। আপনি তাদেরকে এভাবে অনুপ্রেরণা দিতে পারেন যে, “আশা করা যায়, আপনিও একজন সফল ডিজিটাল মার্কেটার হতে পারবেন” বা “আপনার জন্য একটি সফল ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার অপেক্ষা করছে” ইত্যাদি ইত্যাদি।
এই ধাপটিই হচ্ছে উদ্দেশ্য পূরণের সর্বশেষ ধাপ। অর্থাৎ, মূল সিদ্ধান্ত বা ধারণাটা এখান থেকেই নিশ্চিত হওয়া যাবে। তাই অডিয়েন্সের কাছে মূল বিষয়টি পুনরায় সুন্দরভাবে তুলে ধরে এবং সেটির প্রতি আবারও উৎসাহিত করে আপনি আপনার আর্টিকেল লেখা সম্পন্ন করুন।
শেষ কথা
এই হচ্ছে PASTOR ফর্মুলা। আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যাদের লেখালেখির ভালো দক্ষতা রয়েছে, কিন্তু ওয়েবসাইট বা ব্লগের জন্য আর্টিকেল লিখার ক্ষেত্রে তারা দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভোগেন। কিন্তু দেখুন, PASTOR ফর্মুলা অনুসরণ করে খুব সহজেই আপনি আর্টিকেল লিখতে পারছেন। তাই এই ফর্মুলা ব্যবহার করে, আপনিও সহজেই নিজের আর্টিকেল নিজে লিখতে পারবেন।
মাশা আল্লাহ সম্পূর্ণ পড়েছি। খুব সুন্দর ভাবে বুঝাতে পেরেছেন আলহামদুলিল্লাহ।
জাযাকাল্লাহু খাইরান