Saturday, July 27, 2024
গাইডব্লগ

ওয়েব ডিজাইন কী? ওয়েব ডিজাইন শিখে কিভাবে আয় করবেন 2022?

গ্রাফিক্স ডিজাইনের বহুল বিস্তৃত ক্ষেত্রগুলোর একটি হলো ওয়েব ডিজাইন। আজকাল দেখা যায় বড় কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে ক্ষুদ্র কোনো উদ্যোক্তা, কোনো বিদ্যালয় বা কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি অফিস-আদালত সহ প্রায় সবকিছুরই একটি ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট দরকার হয়। আর সেই ওয়েবসাইটটির গঠন কেমন হবে, কীভাবে সাজানো হবে সেগুলো নির্ধারণ করাই হলো ওয়েব ডিজাইনিং৷ আজকে আমরা ওয়েব ডিজাইন কী এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেষ্টা করবো।

ওয়েব ডিজাইন কী?

ওয়েব ডিজাইন কী

ওয়েব ডিজাইন সম্পর্কে জানতে হলে প্রথমেই আমাদেরকে বুঝতে হবে ওয়েব ডিজাইন কী। সহজ কথায়, ওয়েব ডিজাইন বলতে কোনো ওয়েবসাইটের গঠন এবং নকশা বা ডিজাইনকে বোঝানো হয়। অর্থাৎ, ওয়েবসাইট সুন্দর করে সাজানোর প্রক্রিয়াই হলো ওয়েব ডিজাইনিং৷

কোনো ওয়েবসাইটের বাহ্যিক রূপ বা গঠন কেমন হবে তা যাচাই-বাছাই করে ওয়েব ডিজাইন। আপনি লক্ষ্য করবেন যে, ফেসবুকের গঠন দেখতে একরকম, আবার টুইটার দেখতে আরেক রকম, আবার ইন্সটাগ্রাম দেখতে আরেক রকম। এই ওয়েবসাইটগুলোর ডিজাইন ভিন্ন হওয়া ব্যাপারটি নির্ভর করছে ওয়েবসাইটগুলো কীভাবে গঠন করা হয়েছে, কীভাবে সাজানো হয়েছে, তার উপর।

একটি ওয়েবসাইটের আউটলুক(Outlook) বা বাহ্যিক রূপ, ফন্ট(Font) সাইজ, ফন্ট কালার, ইমেজ(Image), টুলবার(Toolbar), ম্যানুবার(Menubar) ইত্যাদি কোথায় থাকবে, কীভাবে থাকবে, কন্টেন্ট কীভাবে থাকবে, মোট কথা একটি ওয়েবসাইট যেভাবে গ্রাহকের সামনে উপস্থাপন করা হয় এর সংশ্লিষ্ট সকল কাজই ওয়েব ডিজাইনিংয়ের অন্তর্ভুক্ত। 

ওয়েব ডিজাইন কেন গুরুত্বপূর্ণ?

ওয়েব ডিজাইন কেন গুরুত্ব

ওয়েব ডিজাইন কী সে সম্পর্কে আমরা জানলাম। এখন আমরা ওয়েব ডিজাইন কেন গুরুত্বপূর্ণ সে সম্পর্কে জানবো। আপনার ওয়েবসাইট হচ্ছে আপনার ভার্চুয়াল আবাসস্থল। ধরুন বাস্তব জীবনে আপনার কোনো প্রতিষ্ঠান আছে, তাহলে সেই প্রতিষ্ঠানটির ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম হতে পারে আপনার ওয়েবসাইট৷ বা ধরুন আপনি সম্পূর্ণ অনলাইন ভিত্তিক নতুন কোনো ব্যবসা করেছেন৷ সেক্ষেত্রে আপনার ব্যবসার সফলতা বা ব্যর্থতা পুরোটাই নির্ভর করছে আপনার ওয়েবসাইটের গাঠনিক সৌন্দর্য্য ও কার্যক্রমের উপর।

যখন কোনো ভিজিটর আপনার সাইটে প্রবেশ করবে তখন তারা আপনার ওয়েবসাইটের গঠন ও তা কীভাবে সাজানো হয়েছে, তা দেখেই সিদ্ধান্ত নিবে আপনার সাইট বিশ্বস্ত কিনা। যদি আপনার ওয়েবসাইট তাদের কাছে প্রফেশনাল(Professional) ও প্রাসঙ্গিক মনে হয়, তাহলে তারা সময় দিয়ে আপনার ওয়েবসাইট ও ওয়েবসাইটের কন্টেন্টগুলো ঘুরে ঘুরে দেখবে, এমনকি সেখান থেকে কেনাকাটাও করতে পারে।

অপরদিকে আপনার ওয়েবসাইট যদি লোড(Load) হতে দীর্ঘক্ষণ সময় নেয় বা সেখানে যদি বানান ভুল, অপ্রচলিত বা পুরান ছবি, এমন লিংক দেওয়া থাকে যা ঠিক মতো কাজ করেনা, ডিজাইন কোয়ালিটি খুব খারাপ – এই ধরণের সমস্যা যদি দেখা দেয়, সেক্ষেত্রে ভিজিটররা আপনার ওয়েবসাইটের প্রতি বিরক্ত হয়ে পরবেন এবং দ্রুতই ওয়েবসাইটটি ত্যাগ করবেন।

কিন্তু যদি আপনার ওয়েবসাইটটির ডিজাইন আকর্ষণীয় হয় এবং তা ভিজিটরদেরকে কোয়ালিটিফুল এবং দরকারী কন্টেন্টের মাধ্যমে সাহায্য করে, তাহলে ভিজিটরদের আপনার ওয়েবসাইটের প্রতি ভালো একটি ধারণা জন্মাবে৷ শুধু তা ই নয়, আপনার ওয়েবসাইট থেকে কেনাকাটা করার জন্যও তারা উৎসাহিত হবে৷

সুতরাং, দৃষ্টিনন্দন এবং আকর্ষণীয় ওয়েবসাইট ডিজাইন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

অবশ্যই পড়বেন: ইমেইল মার্কেটিং কী

ওয়েব ডিজাইন ও ওয়েব ডেভেলপমেন্টের পার্থক্য

ওয়েব ডিজাইন ও ওয়েব ডেভেল

অনেকেই মনে করেন, ওয়েব ডিজাইন ও ওয়েব ডেভেলপমেন্ট একই জিনিস। কিন্তু আসলে তাদের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। যেমন :

          ওয়েব ডিজাইন         ওয়েব ডেভেলপমেন্ট 
১. কোনো ওয়েবসাইট সুন্দর করে সাজানোর প্রক্রিয়াই হলো ওয়েব ডিজাইনিং।  ১. কোনো ওয়েবসাইটের যাবতীয় ফাংশনাল(Functional) কাজ করার জন্য যে কোডিং করা হয়, তাকে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বলে। 
২. একজন ওয়েব ডিজাইনার কাজটি করে থাকেন।  ২. একজন ওয়েব ডেভেলপার কাজটি করে থাকেন।
৩. এই কাজটিতে সাধারণত সৃজনশীলতার প্রয়োগ দেখাতে হয়।  ৩. এই কাজটিতে সাধারণত টেকনিক্যাল জ্ঞানের প্রয়োজন হয়। 
৪. আপনার ওয়েবসাইটকে নান্দনিক ও দৃষ্টিনন্দন করতে ওয়েব ডিজাইনিং করা হয়।  ৪. ক্লায়েন্টের চাহিদা অনুযায়ী ইউজার ফ্রেন্ডলি বা ব্যবহার উপযোগী ওয়েবসাইট তৈরিতে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করা হয়। 
৫. কোনো ওয়েবসাইট বাহ্যিক দিক দিয়ে কেমন হবে তা ওয়েব ডিজাইন নির্ধারণ করে।  ৫. কোনো ওয়েবসাইটে ফাংশনালিটি অর্থাৎ ওয়েবসাইটটি কীভাবে কাজ করবে তা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট নির্ধারণ করে। 
৬. জনপ্রিয় ওয়েব ডিজাইনিং টুলগুলো হলো অ্যাডোব ফটোশপ(Adobe Photoshop), অ্যাডোব ইলাস্ট্রেটর(Adobe Illustrator), ড্রীমউইভার(DreamWeaver) ইত্যাদি।  ৬. সাধারণত এইচটিএমএল(HTML), পিএইচপি(PHP), জাভাস্ক্রিপ্ট(JavaScript), সিএসএস(CSS), পাইথন(Python) ইত্যাদি ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করা হয়। 
৭. ওয়েব ডিজাইন কোনো কল্পনা বা ধারণাকে দৃশ্যমান ডিজাইনে রূপান্তরিত করে।  ৭. ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ওয়েব ডিজাইনকে ফাংশনাল ওয়েবসাইটে রূপান্তরিত করে। 

ওয়েব ডিজাইনারদের কাজ কী?

ওয়েব ডিজাইন কী, কেন প্রয়োজন এগুলো সম্পর্কে আমরা জানলাম। এখন প্রশ্ন হচ্ছে যারা এই ওয়েব ডিজাইন করে থাকেন, অর্থাৎ ওয়েব ডিজাইনাররা, তাদের কী কী কাজ বা দায়িত্ব পালন করতে হয়?

আসলে একটা ওয়েবসাইটের বাহ্যিক অবকাঠামো ঠিক করার সম্পূর্ণ দায়িত্বটা একজন ওয়েব ডিজাইনারের। ওয়েবসাইটের একটি পূর্ণাঙ্গ টেমপ্লেট তৈরি করা, লেয়াউট তৈরি করা, হেডারের কোথায় মেন্যুবার হবে, টুলবার কই থাকবে, সাইডবার থাকবে কিনা, ইমেজগুলো কীভাবে প্রদর্শিত হবে, ডিজাইনিংয়ের জন্য কোন ফন্ট বা ফন্ট সাইজ কী হবে – এই সবকিছু যাচাই-বাছাই করার দায়িত্ব ওয়েব ডিজাইনারের।

অবশ্যই পড়বেন: কন্টেন্ট মার্কেটিং কী

ওয়েব ডিজাইনার হতে কী কী শিখতে হবে?

ওয়েব ডিজাইন কী, এর গুরুত্ব এসব সম্পর্কে আমরা জানলাম। এখন কথা হচ্ছে, আমি যদি একজন ওয়েব ডিজাইনার হতে চাই, সেক্ষেত্রে আমাকে কী কী শিখতে হবে?

নিম্নে এগুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো :

যেহেতু ওয়েব ডিজাইন গ্রাফিক্স ডিজাইনেরই একটি অংশ, সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই গ্রাফিক্স ডিজাইনের বেসিক বা মূল বিষয়গুলি জানতে হবে। গ্রাফিক্স ডিজাইনিংয়ের অনেকগুলো টুল রয়েছে। তন্মধ্যে অ্যাডোব ইলাস্ট্রেটর(Adobe Illustrator), ফটোশপ(Photoshop), ড্রীমউইভার(DreamWeaver), স্কেচবুক(Sketchbook) ইত্যাদি সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে।

এর কারণ হলো, ওয়েবসাইটের পূর্ণাঙ্গ ডিজাইন করার আগে একটি রাফ ডিজাইন আমাদেরকে ফটোশপ বা ইলাস্ট্রেটরের মতো টুলগুলো দ্বারা বানিয়ে নিতে হবে। তাছাড়া, এই গ্রাফিক ডিজাইনিং টুলগুলো পরবর্তীতে ডিজাইনিংয়ের সময় আপনার অনেক কাজে আসবে। 

  • এইচটিএমএল(HTML)

এইচটিএমএলের(HTML) এর পূর্ণরূপ হলো হাইপার টেক্সট মার্কআপ ল্যাঙ্গুয়েজ(Hyper Text Markup Language)। এটি মূলত এক ধরণের কোডিং ল্যাঙ্গুয়েজ। এই মার্কআপ ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করেই ওয়েবসাইটগুলোকে একটি স্ট্রাকচার(Structure) বা গঠন দেওয়া হয়।

এইচটিএমএল(HTML) শেখা খুবই সহজ। আপনি অভিজ্ঞ কারো থেকে বা কোথাও থেকে কোর্স করে বা টিউটোরিয়াল দেখে এটি শিখে নিতে পারবেন। আর শেখার পর আপনিও খুব সহজেই ওয়েবসাইট বানাতে পারবেন।

  • সিএসএস(CSS)

সিএসএসও(CSS) এক ধরনের কোডিং ল্যাঙ্গুয়েজ যার পূর্ণরূপ হচ্ছে ক্যাসক্যাডিং স্টাইল শিট(Cascading Style Sheet)। এইচটিএমএল দ্বারা তৈরি ওয়েবপেজ বা ওয়েবসাইটগুলোর গঠনকে কোনো স্টাইল বা ডিজাইন দেওয়ার কাজটি করে থাকে সিএসএস। একটি ওয়েবসাইটকে সুন্দর ও আকর্ষণীয়ভাবে ডিজাইন করার জন্য সিএসএস ব্যবহার করা হয়।

  • জাভাস্ক্রিপ্ট(JavaScript)

জাভাস্ক্রিপ্ট হচ্ছে এক ধরণের ক্লায়েন্ট সাইড স্ক্রিপটিং ল্যাঙ্গুয়েজ(Client Side Scripting Language)। এটি ওয়েবসাইটের বিভিন্ন রকম প্রক্রিয়া বা কৌশলগুলোকে প্রভাবিত করার জন্য ব্যবহার করা হয়। আপনি যদি একজন ভালো ওয়েব ডিজাইনার হতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই জাভাস্ক্রিপ্ট সম্পর্কে ধারণা থাকা জরুরী৷ 

উপরের ধাপগুলো একে একে শেখা শুরু করুন আর বেশি বেশি চর্চা করুন। দেখবেন সহজেই আপনি বিষয়গুলি আয়ত্ত করতে পারছেন।

ওয়েব ডিজাইন কীভাবে শিখবেন?

ওয়েব ডিজাইন কীভাবে শিখব

ওয়েব ডিজাইনিং সেখার কয়েকটি সহজ এবং কার্যকরী মাধ্যম রয়েছে। নিম্নে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো :

  • ওয়েব ডিজাইন কোর্স

অনলাইন ও অফলাইন – উভয় জায়গাতেই ওয়েব ডিজাইনের অনেকগুলো কোর্স রয়েছে। আপনি একটু খোঁজ করলেই সেগুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন। এই কোর্সগুলো পেইড অথবা আনপেইড – দুইরকমই হয়ে থাকে৷ যদি ওয়েব ডিজাইন একদম বিস্তারিতভাবে শিখতে চান সেক্ষেত্রে আপনার উচিত পেইড কোর্স করা।

অনলাইনে দেশি-বিদেশি অনেকগুলো জনপ্রিয় ই-লার্নিং প্লাটফর্ম প্রায়ই ওয়েব ডিজাইন কোর্স করিয়ে থাকে। তন্মধ্যে জনপ্রিয় কয়েকটি হলো : কোর্সেরা(Coursera), ইউডেমি(Udemy) ইত্যাদি। আপনি ইংরেজিতে দক্ষ হয়ে থাকলে এই কোর্সগুলো করে আপনি বিশ্বমানের ওয়েব ডিজাইনিং শিখতে পারবেন। এই প্লাটফর্মগুলো মাঝে মাঝে ফ্রিতেই সম্পূর্ণ কোর্স করার সুযোগ দেয়। এই সেবাটি পাওয়ার জন্য আপনাকে তাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত নজর রাখতে হবে।

  • ইউটিউবে টিউটোরিয়াল দেখে

ওয়েব ডিজাইন শেখার আরেকটি উল্লেখযোগ্য মাধ্যম হচ্ছে ইউটিউবে ওয়েব ডিজাইনিং টিউটোরিয়াল দেখা। আজকাল কোনো কিছু শেখার এবং জানার সবচেয়ে সহজ এবং কার্যকরী মাধ্যম বলা হয় ইউটিউবকে। কারণ ইউটিউবে আপনি প্রায় সব সমস্যা বা জিজ্ঞাসার সমাধান পাবেন এবং তা স্বচক্ষে বিস্তারিত দেখতে ও জানতে পারবেন।

আমরা যখন কোনো কিছু সরাসরি দেখে এবং বিস্তারিত শুনে শেখার সুযোগ পাই, তখন আমরা বিষয়টা খুব সহজেই শিখতে পারি। ইউটিউবে ওয়েব ডিজাইন নিয়ে বিভিন্ন ভাষায় অসংখ্য টিউটোরিয়াল আছে। আপনি নিজে যাচাই-বাছাই করে যে টিউটোরিয়ালটি আপনার পছন্দ হয় সেখান থেকেই আপনি ওয়েব ডিজাইনিং শিখতে পারবেন।

  • ব্লগ পড়ে

ওয়েব ডিজাইনিং নিয়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অসংখ্য নামীদামী ডিজাইনাররা প্রতিনিয়তই ব্লগ লিখছেন। আপনি যদি তাদের ব্লগগুলো নিয়মিত পড়েন তাহলে সেখান থেকে আপনি অনেক কিছু জানতে পারবেন। তারা নিজেরা কীভাবে শুরু করেছিলেন, কী কী সমস্যা বা বাঁধা পার করেছিলেন, কীভাবে তারা আজকের এই পর্যায়ে এসেছেন সবকিছুই আপনি সেখান থেকে জানতে পারবেন।।

আপনি যখন এই ব্লগিংগুলো পড়বেন তখন আপনার অনেকটা ধারণা হয়ে যাবে যে কীভাবে আপনার শুরু করতে হবে বা কীভাবে আপনাকে এগোতে হবে। সেই অনুযায়ী আপনি আপনার সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।

এগুলো ছাড়াও আরো অনেকভাবেই ওয়েব ডিজাইনিং শেখা যায়। যেমন : পিডিএফ পড়ে, বই বা ই-বুক(EBook) পড়ে ইত্যাদি।

অবশ্যই পড়বেন: সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কী

কীভাবে ওয়েব ডিজাইন করে আয় করা যায়? 

কীভাবে ওয়েব ডিজাইন করে আ

ওয়েব ডিজাইন করে আয় করার বিভিন্ন রকম মাধ্যম রয়েছে। যেমন :

  • ফ্রিল্যান্সিং করে

ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনি ওয়েব ডিজাইনিং করে কত টাকা আয় করতে পারবেন তা পুরোটাই নির্ভর করছে আপনার দক্ষতা এবং আপনি কতগুলো কাজ করছেন তার উপর। সহজ হিসাব হচ্ছে, আপনি যত বেশি কাজ করতে পারবেন, তত বেশি আপনার আয় হবে। সাধারণত ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটগুলো থেকে অনেক বেশি কাজ পাওয়া যায়, তাই এখান থেকে অর্থ উপার্জনের সম্ভাবনাটাও বেশি।

ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে আয় করার জন্য আপনার প্রথমে ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটগুলোতে [যেমন আপওয়ার্ক.কম(Upwork.com),ফ্রিল্যান্সার.কম(Freelancer.com),ফাইভার.কম(Fiverr.com) ইত্যাদি] একটি একাউন্ট খুলতে হবে। একাউন্ট খোলার পর আপনি দেখবেন সেখানে ওয়েব ডিজাইনের সাথে জড়িত ছোট-বড় অনেকগুলো প্রজেক্ট বা কাজ রয়েছে। সেই প্রজেক্ট বা কাজগুলো ঠিকঠাক মতো সম্পন্ন করতে পারলেই সেখান থেকে আপনি অর্থ আয় করতে পারবেন৷

  • নিজের ওয়েব ডিজাইন এজেন্সি(Agency) তৈরি করে

আপনি যদি নিজেই একটি ওয়েব ডিজাইন এজেন্সি বা প্রতিষ্ঠান খুলে ফেলেন, সেখান থেকেও আপনি প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এমন অসংখ্য প্রতিষ্ঠান, সংগঠন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সংস্থা বা মানুষ রয়েছে যারা নিজেদের ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট বানাতে চায়। আপনি সে সমস্ত ক্লায়েন্টদের খুঁজে বের করে তাদের কাজটি করে দিয়ে অর্থ আয় করতে পারেন। যত বেশি ক্লায়েন্ট আপনি পাবেন, আপনার আয়ও তত বেশি হবে।

ধরুন কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট তৈরি করে আপনি ১৫০০০ টাকা পেয়েছেন৷ এরকম মাসে ১০টি ওয়েবসাইট ডিজাইন করে দিলে আপনি ১৫০০০ × ১০ = ১৫০০০০ টাকা আয় করতে পারেন। এভাবেই, আজকাল নিজের এজেন্সির মাধ্যমে ওয়েব ডিজাইনিং করে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করা যায়৷ 

  • থিম(Theme) এবং টেমপ্লেট(Template) বিক্রি করে

আপনার সম্পূর্ণ ওয়েবসাইটের ডিজাইনকে বলা হয় থিম। আর ওয়েবসাইটের কোনো একটা সিনগেল(Single) বা একক পেজের লেয়াউটকে বলা হয় টেমপ্লেট। আপনি যদি থিম এবং টেমপ্লেট ডিজাইন করতে জানেন, সেক্ষেত্রে আপনি এগুলো বিক্রি করে প্রচুর অর্থ আয় করতে পারবেন। কারণ দেশে-বিদেশে এগুলোর অনেক চাহিদা রয়েছে। থিম এবং টেমপ্লেট বিক্রির বেশ কিছু জনপ্রিয় ওয়েবসাইট রয়েছে, যেমন :

  • থিমফরেস্ট(Themeforest)
  • মোজো থিমস(Mojo Themes)
  • টেমপ্ল্যামেটিক(Templamatic)
  • বাই স্টক ডিজাইন(By Stock Design)
  • টেমপ্ল্যাট ক্লাউড(Template Cloud) ইত্যাদি।

এই ওয়েবসাইটগুলোতে ডিজাইন বিক্রির জন্য আপনার ওয়েবসাইটগুলোতে একটি একাউন্ট খুলতে হবে। অতঃপর সেখানে আপনি আপনার থিম এবং টেমপ্লেট ডিজাইন বিক্রি করতে পারবেন। আপনার কাজ পছন্দ হলে দেশী-বিদেশি অনেকগুলো ক্লায়েন্টই আপনার ডিজাইন কিনতে চাইবে। এভাবে সেখান থেকে আপনি প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারবেন৷ 

শেষ কথা

আমরা ওয়েব ডিজাইন কী এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলি সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম। বর্তমানে আমাদের চারিপাশে ওয়েব ডিজাইনিংয়ের চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। তাই আপনি যদি ওয়েব ডিজাইনিংয়ে দক্ষ কিংবা আগ্রহী হয়ে থাকেন, তাহলে আশা করা যায় আপনার জন্য সুন্দর একটি ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে। 

তৌহিদ

ABOUT TOUHID

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *