রেডমি 10C | রেডমি 10C বাংলাদেশ প্রাইস
বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোন আমাcaisson metallique occasion centro analisi san giorgio a cremano sles dvd ski salomon all mountain asus usb ac53 nano treiber que es bueno para las manos dormidas reis kochen mit salz paillasson aliexpress mint radio player saeco ebay kleinanzeigen abbigliamento uomo montagna klobürste selbstreinigend sedia scandinava ikea sony ps4 pro konsole 1tb schwarz god of war werkvergleich goldne topf steppenwolf দের জীবনের এমন একটি অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে যে, এটি ছাড়া আমরা একটা দিনও কল্পনা করতে পারিনা। মোবাইল ফোনের এই সহজলভ্যতা এবং সহজপ্রাপ্যতা আমাদের জীবনযাত্রার মানকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। বর্তমানে মোবাইল ফোনের এই ব্যাপক জনপ্রিয়তার বিষয়টি মাথায় রেখে ম্যানুফেকচারিং(Manufacturing) প্রতিষ্ঠানগুলোও প্রতিনিয়তই নতুন নতুন মোবাইল বাজারে লঞ্চ(launch) করছে। তেমনই একটি সদ্য লঞ্চ হওয়া মোবাইল ফোন হলো রেডমি 10C। আজকে আমরা রেডমি 10C, এর উপকারী ও মন্দ দিক, রেডমি 10C বাংলাদেশ প্রাইস ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে জানবো।
অবশ্যই পড়বেন
রেডমি 10C | রেডমি 10C বাংলাদেশ প্রাইস
শাওমি(Xiaomi) প্রতিষ্ঠানের যে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনগুলো সাম্প্রতিক সময়ে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো রেডমি 10C। বিশ্বে রেডমি 10C প্রথম লঞ্চ করা হয় এই বছরের মার্চের ১২ তারিখ।
রেডমি 10C এর দুইটি ভার্সন বর্তমানে মার্কেটপ্লেসে পাওয়া যায়। তার মধ্যে একটি হলো রেডমি 10C(৪/৬৪)। অর্থাৎ, এই ভার্সনে আপনি পাবেন ৪ জিবি র্যাম(RAM) ও ৬৪ জিবি রোম(ROM)। আরেকটি হচ্ছে রেডমি ১০সি(৪/১২৮)। রেডমি 10C এর এই ভার্সনটিতে র্যাম ৪ জিবি হলেও, এর সাথে আপনি পাচ্ছেন ১২৮ জিবি রোম।
এই ডিভাইসটির বডি ডাইমেনশন( Body Dimemsion) হচ্ছে ১৬৯.৬ × ৭৬.৬ × ৮.৩ মি.মি (৬.৬৮ × ৩.০২ × ০.৩৩ ইঞ্চি)। তাছাড়া এটিতে ডুয়েল সিম(Dual Sim) প্রবেশ করানো যায়(ন্যানো সিম, ডুয়েল স্ট্যান্ড-বাই)।
রেডমি 10C এর বিভিন্ন রঙয়ের ভার্সন রয়েছে। যেমন : গ্রাফাইট গ্রে(Graphite Gray) বা ধূসর, ওশ্যান ব্লু(Blue) বা নীল, মিন্ট গ্রিন(Green) বা সবুজ।
রেডমি 10C বাংলাদেশ প্রাইস
রেডমি 10C বিশ্বের অনেক দেশে মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে লঞ্চ হলেও বাংলাদেশে তা প্রথম লঞ্চ হয় মার্চের ২৩ তারিখ অর্থাৎ চতুর্থ সপ্তাহে। এরপর থেকেই তা মানুষের পছন্দের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।
রেডমি 10C(৪/৬৪) বাংলাদেশ প্রাইস বা বাংলাদেশী টাকায় এর মূল্য হচ্ছে ১২,৯৯৯ টাকা(অফিসিয়াল)। আর রেডমি 10C(৪/১২৮) এর বর্তমান বাজারমূল্য হচ্ছে ১৩,৯৯৯ টাকা(অফিসিয়াল)।
তবে এই ক্ষেত্রে মনে রাখা জরুরী যে মোবাইল ফোনের দাম সবসময়ই কম-বেশি হতে থাকে। আজকে যে মূল্য, একমাস পর তা আরো কমে যেতে পারে। তাই সবকিছু ঠিক মতো খোঁজ-খবর নিয়ে মোবাইল কিনুন।
রেডমি 10C এর উপকারী দিক
- সহজে বহনযোগ্য।
- ৬.৭১” ডিসপ্লে, আইপিএস(IPS) এলসিডি(LCD) টাচস্ক্রিন।
- ডুয়েল ব্যাক ক্যামেরা, ৫০ মেগাপিক্সেল প্রশস্ত বা ওয়াইড(Wide) + ২ মেগাপিক্সেল গভীর(Depth) সেন্সর লেন্স। আর ফ্রন্ট ক্যামেরায় রয়েছে ৫ মেগাপিক্সেল সিনগেল ক্যামেরা সেট-আপ।
- ফিঙ্গারপ্রিন্ট, এক্সেলেরোমিটার(Accelerometer), প্রক্সিমিটি(Proximity) সেন্সর রয়েছে।
- ২জি,৩জি,৪জি নেটওয়ার্ক সমর্থনযোগ্য।
- অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড ১১ + এমআইইউআই ১৩(MIUI 13)।
- গরিলা গ্লাস প্রটেকশন রয়েছে।
- ব্লুটুথ ভার্সন ৫.০।
- ইউএসবি(USB) টাইপ-সি, ভার্সন ২.০।
- লিথিয়াম-পলিমার ৫০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার আওয়ার(mAh) ব্যাটারি সক্ষমতা।
- মাইক্রো এসডি(SD) কার্ড সমর্থন করে।
- ডিভাইস দ্রুত চার্জ হয়।
- ৩.৫ মি.মি হ্যাডফোন জ্যাক(Jack)
- বাজেট উপযোগী ডিভাইস।
রেডমি 10C এর মন্দ দিক
- ৫জি নেটওয়ার্ক সমর্থন করেনা।
- ওয়াটারপ্রুফ বা জলরোধক নয়।
- নন-রিমুভেবল(Non-Removable) ব্যাটারি।
- ওয়ারলেস চার্জিংয়ের ব্যবস্থা নেই।
- ক্যামেরা পারফরম্যান্স খুবই সাধারণ।
- হাই র্যাম বা হাই কোয়ালিটি গেম ও অন্যান্য সফটওয়্যার ব্যবহার করতে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়।
- মাত্র ৭২০পি(720p) ডিসপ্লে রেজুলেশন(Resolution)।
- সাম্প্রতিক অ্যান্ড্রয়েড ১২ ভার্সন অনুপস্থিত।
শেষ কথা
হাতের এপিঠ-ওপিঠের মতো যেকোনো কিছুরই ভালো দিক মন্দ দিক দুইই থাকতে পারে। সামান্য কিছু অসুবিধা থাকা সত্ত্বেও রেডমি 10C এতো অল্প দামে যে সেবাসমূহ দিচ্ছে, তা আসলেই প্রশংসার দাবিদার।