গাইডব্লগ

ফুল-স্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কী? কিভাবে একজন দক্ষ ফুল-স্ট্যাক ডেভেলপার হবেন?  

কোনো একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য ওয়েবসাইট ডিজাইন ছাড়াও আরো অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে হয়। যেমন : ওয়েবসাইটের সার্ভার তৈরি করা, ওয়েবসাইটের গঠন ও কাঠামো তৈরি করা অর্থাৎ, ওয়েবসাইটের ফাংশনালিটি কেমন হবে তা নির্ধারণ করাও এক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই ওয়েবসাইট তৈরীর ক্ষেত্রে ওয়েব ডিজাইন এর পাশাপাশি ওয়েব ডেভেলপমেন্টেরও প্রয়োজন রয়েছে। আর একজন ফুল-স্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপারের কাজ হচ্ছে এই দুটি কাজের সমন্বয় করে তা সম্পন্ন করা। আজকে আমরা ফুল-স্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কী এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকল কিছু নিয়ে বিস্তারিত জানবো।

ফুল-স্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কী?

ফুল-স্ট্যাক ডেভেলপমেন্ট কী

ফুল-স্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে প্রথমেই আমাদেরকে বুঝতে হবে ফুল-স্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কী। একদম সহজভাবে বললে,

ফুল-স্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপমেন্ট = ওয়েব ডিজাইন + ওয়েব ডেভেলপমেন্ট

অর্থাৎ, ওয়েবসাইট ডিজাইন করা থেকে শুরু করে ওয়েব ডেভেলপমেন্টের পুরো প্রক্রিয়াটি সমন্বয় করে তা দক্ষতার সাথে সম্পন্ন করার প্রক্রিয়াই হলো ফুল-স্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপমেন্ট। মূলত ফুল-স্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোনো ওয়েবসাইটের ফ্রন্ট এন্ড(Front End) বা ক্লায়েন্ট সাইড এবং ব্যাক এন্ড(Back End) বা সার্ভার সাইড উভয় বিষয় নিয়েই কাজ করে। 

সুতরাং ওয়েবসাইট ডিজাইন, ফ্রন্ট এন্ড, ব্যাক এন্ড, ওয়েবসাইটের সার্ভার, গঠন ও কাঠামো তৈরি করা, ডাটাবেজ সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্ট, ডিবাগিং(Debugging) সবকিছুই একজন ফুল স্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপার একত্রে সম্পাদন করেন।

ফুল-স্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপারের কাজ কী?

ফুল-স্ট্যাক ডেভেলপারের কাজ কী

ফুল-স্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কী তা আমরা জানলাম। এখন প্রশ্ন হচ্ছে একজন ফুল-স্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপারের কাজ কী? বা তাকে কী কী দায়িত্ব পালন করতে হয়? নিম্নে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো :

  • ওয়েব ডিজাইন ও ওয়েব ডেভেলপমেন্টের সমন্বয় করা। 
  • ওয়েবসাইটের ফ্রন্ট এন্ড ও ব্যাক এন্ড উভয় বিষয়েই কাজ করা। 
  • ওয়েব ডিজাইনিং এবং ওয়েবসাইটের ফাংশনাল কার্যাবলী সবকিছুই একত্রে সম্পাদন করা। 
  • ওয়েবসাইটের সামগ্রিক গঠন নিয়ে কাজ করা। 
  • ওয়েবসাইটের কাজ সহজ করা। 
  • ওয়েবসাইট কোনো রকম সমস্যার সম্মুখীন হলে তা সমাধান করা। 
  • ওয়েবসাইট সবসময় মনিটরিং(Monitoring) করা। 
  • সফটওয়্যার তৈরি এবং এর সাথে সম্পর্কযুক্ত সকল কাজই ফুল-স্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপারকে করতে হয়। 
  • সব রকম প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজের সাথে পরিচিত হওয়া এবং সেগুলোর ব্যবহার জানা। 
  • ওয়েবসাইট এবং ওয়েবসাইটের তথ্য ও উপাত্তের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
  • ই-কমার্স ভিত্তিক লেনদেন বা অন্যান্য কাজ করার প্রয়োজন হলে, তার পুরোটাই ফুল-স্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপারকে দেখভাল করতে হয়।

এর বাইরেও একজন ফুল-স্ট্যাক ডেভেলপারকে আরো টুকটাক ছোটো-খাটো কাজ করতে হয়। তবে মূলত এই দায়িত্বগুলোয় তাদের পালন করতে হয়।

ফ্রন্ট এন্ড বনাম ব্যাক এন্ড বনাম ফুল-স্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপার

ফ্রন্ট এন্ড বনাম ব্যাক এন্ড বনাম ফুল-স্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপার

ফুল-স্ট্যাক ডেভেলপমেন্ট কী, ফুল স্ট্যাক ডেভেলপারের কাজ কী, ফ্রন্ট এন্ড এবং ব্যাক এন্ড ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কে আমরা জানলাম। এখন আমরা ফ্রন্ট এন্ড ওয়েব ডেভেলপার, ব্যাক এন্ড ওয়েব ডেভেলপার এবং ফুল-স্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপারের পার্থক্য সম্পর্কে জানবো : 

    ফ্রন্ট এন্ড ওয়েব ডেভেলপার      ব্যাক এন্ড ওয়েব ডেভেলপার    ফুল-স্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপার 
১. মূলত ক্লায়েন্ট সাইড বা ব্রাউজার সাইড নিয়ে কাজ করে।  ১. সার্ভার সাইড নিয়ে মূলত কাজ করে। ১. ক্লায়েন্ট সাইড এবং সার্ভার সাইড উভয় নিয়েই কাজ করে। 
২. এটি হলো ওয়েবসাইট বা ওয়েবপেজের দৃশ্যমান অংশ।  ২. এটি হচ্ছে ওয়েবসাইট বা ওয়েবপেজের ভিতরের অদৃশ্যমান অংশ।  ২. এটি হচ্ছে উভয়েরই হাইব্রিড বা মিশ্রণ। 
৩. এইচটিএমএল(HTML), সিএসএস(CSS), জাভাস্ক্রিপ্ট(Javascript) ইত্যাদি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ নিয়ে কাজ করে। ৩. পিএইচপি(PHP), রুবি(Ruby), পাইথন(Python) ইত্যাদি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ নিয়ে কাজ করে।  ৩. এইচটিএমএল, জাভাস্ক্রিপ্ট, সিএসএস, পাইথন, রুবি, পিএইচপি ইত্যাদি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ নিয়ে কাজ করে। 
৪. ফ্রন্ট এন্ড ডেভেলপারকে অবশ্যই সৃজনশীল, উদ্ভাবনী, কল্পনাশক্তিপূর্ণ হতে হয়।  ৪. একজন ব্যাক এন্ড ওয়েব ডেভেলপারের বিশ্লেষণাত্মক, দ্রুত, যুক্তিসম্মত এবং ঠাণ্ডা মাথায় কাজ করার দক্ষতা থাকতে হয়।  ৪. একজন ফুল-স্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপারকে সবসময় উদ্ভাবনী, নিয়মনিষ্ঠ এবং একসাথে অনেকগুলো কাজ সামলানোর দক্ষতা থাকতে হয়। 
৫. গড় বেতন প্রতি বছরে প্রায় ১,০৬,২৩৩ ইউএস ডলার। ৫. গড় বেতন প্রতি বছরে প্রায় ১,২০,৯৯৯ ইউএস ডলার।  ৫. গড় বেতন প্রতি বছরে প্রায় ১,০৩,০১১ ইউএস ডলার।
৬. ব্যবহার উপযোগী ওয়েবসাইট, ওয়েবসাইটের স্ক্রিন ভিজুয়ালিটি এবং ফাংশনালিটি তৈরি করে, ওয়েবসাইট ব্যবহারে কোনো রকম সমস্যা হলে তা সমাধানের চেষ্টা করে।  ৬. ওয়েব সার্ভার, এপ্লিকেশন এবং ডাটাবেজ তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণ করে এবং ফ্রন্ট এন্ডের কাজগুলো যাতে ঠিক মতো সম্পন্ন হয় তা নিশ্চিত করে।  ৬. বেশিরভাগই ব্যাক এন্ডের কাজ করলেও ফ্রন্ট এন্ডের কাজও করে থাকে। 

কীভাবে দক্ষ ফুল-স্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপার হবেন?

একজন দক্ষ ওয়েব ডেভেলপার হয়ে উঠার জন্য আপনাকে নিম্নোক্ত ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে :

  • প্রয়োজনীয় দক্ষতাগুলো শনাক্ত করুন

প্রথমেই আপনাকে শনাক্ত করতে হবে যে, আপনার কোন কোন দক্ষতাগুলো শেখা দরকার। একেকজনের জন্য বিষয়টি একেক রকম। অনেকেই আছে যাদের প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজগুলো নিয়ে বা সেগুলোর কয়েকটি নিয়ে নূন্যতম বা মোটামুটি ধারণা আছে৷ এই বিষয়গুলোর উপর ভিত্তি করে আপনার শেখার মাত্রা ও ধরণ ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে।

তবে আপনি একজন শিক্ষানবিশ বা যাই হয়ে থাকুন না কেনো, একজন দক্ষ ফুল-স্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপার হয়ে উঠতে হলে আপনাকে অবশ্যই নিচের প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজগুলো নিয়ে পূর্ণাঙ্গ ধারণা থাকতে হবে :

  • এইচটিএমএল(HTML)
  • জাভা(Java)
  • জাভাস্ক্রিপ্ট(Javascript)
  • সিএসএস(CSS)
  • ডোম ম্যানিপুলেশন(DOM Manipulation)
  • এসকিওএল/নোএসকিওএল(SQL/NoSQL)
  • অবজেক্ট-অরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং(Object-Oriented Programming) ইত্যাদি।

প্রয়োজনীয় দক্ষতাগুলো শনাক্ত করুন

এই প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজগুলো আপনাকে ভালো মতো আয়ত্ত করে ফেলতে হবে। তবেই আপনি একজন দক্ষ ফুল-স্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপার হয়ে উঠতে পারবেন।

  • একটা আদর্শ টাইমলাইন নির্ধারণ করুন

আপনার কী কী দক্ষতা শিখতে হবে তা শনাক্ত করার পর সেগুলো শিখার জন্য একটা পূর্ণাঙ্গ টাইমলাইন নির্ধারণ করুন। অর্থাৎ, কোনটি শিখার জন্য কতদিন সময় লাগতে পারে, কোনটিতে বেশি বা কম সময় লাগবে সবকিছুই সেখানে অন্তর্ভুক্ত করুন।

  • উপযুক্ত ফরম্যাট(Format) বা প্রক্রিয়া বেছে নিন

আপনি এই দক্ষতাগুলো বিভিন্নভাবেই শিখতে পারেন। সেটা হতে পারে অনলাইন বা অফলাইনে ফুল-স্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপিং কোর্স করে, বা ইউটিউবে ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখে, বই পড়ে, কোনো ট্রেনিং সেন্টারে ভর্তি বা অভিজ্ঞ কারো দ্বারা ব্যক্তিগতভাবেও শিখতে পারেন। আপনার যেভাবে ইচ্ছা, যেভাবে সুবিধা সেভাবেই আপনি শিখা শুরু করুন।

  • পোর্টফলিও তৈরি করুন

পোর্টফলিও তৈরি করুন

আপনি যদি ফুল-স্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপিংয়ে ক্যারিয়ার গড়তে চান সেক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই একটি সুন্দর এবং সাজানো গোছানো পোর্টফলিও থাকা জরুরী৷ কারণ আপনি কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে চান বা ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটে, সবার আগে তারা আপনার পোর্টফলিও দেখতে চাইবে। আপনার পোর্টফলিও দেখেই তাদের আপনার প্রতি প্রাথমিক ধারণা বা মনোভাব জন্মাবে। পোর্টফলিও পছন্দ হলে তবেই আপনি পরের ধাপের জন্য উত্তীর্ণ হবেন, অন্যথায় হয়তো আপনাকে মনোনীত করা নাও হতে পারে।

তাই আপনার প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজগুলো ভালো মতো শেখা হয়ে গেলে, আপনি ধীরে ধীরে নিজের পোর্টফলিও তৈরি করা শুরু করুন। আপনার যদি ইতিপূর্বে এই ব্যাপারে কোনো রকম অভিজ্ঞতা থেকে থাকে তাহলে সেটা অবশ্যই পোর্টফলিওতে অন্তর্ভুক্ত করবেন। তাছাড়া কোন ল্যাঙ্গুয়েজগুলোতে আপনি বেশি দক্ষ, কোনটি আপনার বিশেষত্ব সবকিছুই সেখানে উল্লেখ করার চেষ্টা করবেন।

ফুল-স্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপার ক্যারিয়ার?

ফুল-স্ট্যাক ডেভেলপারের ক্যারিয়ার কেমন

একজন ফুল-স্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপার মূলত দুই ভাবে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। একটি হচ্ছে কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে, আরেকটি হচ্ছে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে।

আসলে একজন ফুল-স্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপার মাসে কত টাকা আয় করতে পারছেন তা নির্ভর করছে তিনি কোথায় কাজ করছেন, কতগুলো প্রজেক্ট সম্পন্ন করছেন এবং তার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার উপর। সাধারণত সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত কোনো ফুল-স্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপার মাসে প্রায় ৩৫,০০০ টাকা থেকে ৭০,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করে থাকেন। ধীরে ধীরে আপনি আপনার দক্ষতা দ্বারা প্রতিষ্ঠানকে সন্তুষ্ট করতে পারলে তারা আপনাকে পদোন্নতি দিবে এবং যার ফলে আপনার আয়ও বাড়বে। 

সচারাচর সকলেই জুনিয়র বা এসিস্ট্যান্ট ফুল-স্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে কাজে যোগ দিয়ে থাকেন। পরবর্তীতে নিজের দক্ষতা দেখিয়ে আপনি সিনিয়র ফুল-স্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে পদোন্নতি পেতে পারেন।

যদি আপনি সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যেতে পারেন, তাহলে একটা সময় আপনি নিজের অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও যোগ্যতার বলে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার এবং হেড(Head) অফ ওয়েবসাইট ম্যানেজমেন্ট(Management) পদেও উত্তীর্ণ হতে পারেন।

আর আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটগুলোতে ফুল-স্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে কাজ করেন, সেক্ষেত্রে আপনার মাসিক আয় এবং ক্যারিয়ার কেমন হবে তা সুনির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। আপনি কতগুলো ক্লায়েন্ট পাচ্ছেন, কতগুলো কাজ করতে পারছেন, আপনার অভিজ্ঞতা – এই বিষয়গুলোর আপনার আয় নির্ভর করছে। হতে পারে কোনো মাসে আপনার আয় হয়েছে ১৫০০০ টাকা। আবার দেখা যাবে আরেক মাসে সেটা ১,৫০,০০০ টাকাতে রূপান্তরিত হয়েছে। এটি আসলে একটি সর্বদা পরিবর্তনশীল চক্র।

বিশেষ করে শুরুর দিকে হয়তো আপনি খুব বেশি কাজ পাবেন না৷ এমনও হতে পারে মাসে কেবল এক-দুটি কাজ পেয়েছেন। কিন্তু আপনি যদি ফ্রিল্যান্সার ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে সফল ক্যারিয়ার গড়তে চান, সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য্য ধরে লেগে থাকতে হবে আর সুযোগের অপেক্ষায় থাকতে হবে। যখনই সুযোগ পাবেন, তখনই নিজের দক্ষতা দেখিয়ে সেটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করতে হবে। এভাবে আপনার একটি সফল ক্যারিয়ার গড়ে উঠবে।

ফুল-স্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কী ভাবে শিখবেন?

ফুল-স্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কী ভাবে শিখবেন

ফুল-স্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কী, ফুল-স্ট্যাক ডেভেলপারের কী কী কাজ করতে হয়, ফুল-স্ট্যাক ডেভেলপমেন্ট ক্যারিয়ার কেমন হতে পারে এগুলো সম্পর্কে আমরা জেনেছি৷ এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ফুল স্ট্যাক ডেভেলপমেন্ট শিখবো কীভাবে?

নিম্নে ফুল-স্ট্যাক ডেভেলপমেন্ট শেখার কয়েকটি সহজ এবং কার্যকরী উপায় নিয়ে আলোচনা করা হলো : 

  • ফুল-স্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোর্স করে

ফুল-স্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শেখার সবচেয়ে কার্যকরী মাধ্যম হলো ফুল-স্ট্যাক ডেভেলপমেন্ট কোর্স করা। সেটি আপনি অনলাইন বা অফলাইন যেখানেই ইচ্ছা করতে পারেন। এখানে পেইড এবং আনপেইড বা ফ্রি দুইরকম কোর্সই রয়েছে। পেইড কোর্সগুলো কিছুটা ব্যয়বহুল হলেও এখান থেকে আপনি বিষয়টি ভালো মতো আয়ত্ত করতে পারবেন৷ তাই আমাদের পরামর্শ থাকবে পেইড কোর্স করার। 

বিশ্বের বিভিন্ন ভাষাতেই কোর্সগুলো পাওয়া যায়। আপনি আপনার যে ভাষাতেই সুবিধা সে ভাষাতেই কোর্সগুলো করতে পারবেন।

  • ইউটিউবে টিউটোরিয়াল

সহজে ফুল-স্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শেখার আরেকটি কার্যকরী উপায় হলো ইউটিউবে টিউটোরিয়াল দেখা। ইউটিউব হলো এমন একটি প্লাটফর্ম যেখানে আপনি সকল প্রকার সমস্যা ও জিজ্ঞাসার সমাধান পাবেন। ফুল-স্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপমেন্ট নিয়েও ইউটিউবে বিভিন্ন ভাষায় অনেকগুলো ভিডিও টিউটোরিয়াল রয়েছে। আপনার যে টিউটোরিয়াল দেখে শিখার ইচ্ছা বা যে ভাষাতে আপনার সুবিধা, সেখান থেকেই আপনি শিখতে পারবেন।

ইউটিউবের আরেকটি বড় সুবিধা হচ্ছে আপনার কোনো বিভ্রান্তি থাকলে বা কিছু ভুলে গেলে সহজেই আপনি তা আবার দেখে নিতে পারেন। তাছাড়া কিছু বোধগম্য না হলে তা আপনি বারবার দেখে আয়ত্ত করে নিতে পারেন। এভাবে আপনি খুব সহজেই ইউটিউব থেকে ফুল-স্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপিং শিখতে পারবেন।

  • বই পড়ে

ফুল-স্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপমেন্ট নিয়ে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য বই রয়েছে, যেমন :

  • দ্যা ফুল-স্টেক ডেভেলপার(The Full-Stack Developer)। বইটির লেখক হচ্ছেন ক্রিস নর্থউড(Chris Northwood)
  • ফুল-স্ট্যাক রিয়েক্ট প্রজেক্টস(Full-Stack React Projects) 

আপনি এই বিশ্বখ্যাত বইগুলো পড়েও এখান থেকে ফুল-স্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখতে পারেন।

শেষ কথা

ফুল-স্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কী এবং এর সাথে সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে আমরা বিস্তারিত জানলাম। গোটা বিশ্বজুড়ে আজ ফুল-স্ট্যাক ডেভেলপারদের বিপুল চাহিদা। তাই আপনার যদি ফুল-স্ট্যাক ডেভেলপিংয়ে ক্যারিয়ার গড়ার ইচ্ছা থাকে, তাহলে আশা করা যায় আপনার জন্য একটি সুন্দর ও সফল ক্যারিয়ার অপেক্ষা করছে।

তৌহিদ

ABOUT TOUHID

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *